তুলা

পাউডারি মাইল্ডিউ

Erysiphaceae

ছত্রাক

5 mins to read

সংক্ষেপে

  • পাতা, কাণ্ড ও মাঝেমাঝে ফলের উপরে সাদাটে দাগের উপস্থিতি।
  • পাতার উপরি পৃষ্ঠে বা নিম্ন পৃষ্ঠে ময়দার মতো সাদা গুঁড়ো পদার্থের উপস্থিতি।
  • গাছের বৃদ্ধি স্থগিত।
  • পাতার কোঁচকানো ভাব ও ঝরে পড়ার লক্ষণ।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

34 বিবিধ ফসল
আপেল
খুবানি
শিম
করলা
আরো বেশি

তুলা

উপসর্গ

রোগের প্রথমে, কাণ্ড ও মাঝেমাঝে ফলের উপরে বৃত্তাকার, পাউডারের মতো সাদা দাগের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই দাগ সাধারণত পাতার উপরিভাগকে আবৃত করে ফেলে কিন্তু পাতার নিম্নতলেও এই দাগ দেখা যেতে পারে। ছত্রাক সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াকে বাধাদান করে এবং তার ফলে পাতা হলুদ হয়ে শুকিয়ে যায় ও কিছু পাতা কুঁচকে যায়, ভেঙে যায় বা বিকৃত হয়ে যায়। পরবর্তী ধাপে, মুকুল ও বর্ধনশীল ডগা বিকৃত হয়ে পড়ে।

Recommendations

জৈব নিয়ন্ত্রণ

সালফার, নিম তেল, ক্যাওলিন বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড পাতায় স্প্রে করলে মারাত্মক আক্রমণকে প্রতিহত করা যেতে পারে।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। পাউডারি মাইল্ডিউ ছত্রাকের প্রতি সংবেদনশীল এমন ফসলের সংখ্যা গুনে এদের উপরে রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া কঠিন। জলে সিক্ত করা যায় এমন সালফার (৩ গ্রাম/লিটার), হেক্সাকোনাজোল, মাইক্লোবুটানিল সমৃদ্ধ ছত্রাকনাশকের প্রয়োগ (সমস্ত ক্ষেত্রেই ২ মিলি/লিটার) কোন কোন ফসলের ক্ষেত্রে এ ছত্রাকের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

এটা কি কারণে হয়েছে

পত্রমুকুলের মধ্যে ও উদ্ভিদের অন্যান্য আবর্জনার মধ্যে বীজগুটি শীতকাল অতিবাহিত করে। বাতাস, জল ও পতঙ্গের মাধ্যমে বীজগুটি পাশের উদ্ভিদে ছড়িয়ে যায়। যদিও এটা ছত্রাক, তবুও পাউডারি মাউল্ডিউ শুষ্ক আবহাওয়াতেও সাধারণভাবেই বেড়ে ওঠে। এ ছত্রাক ১০ - ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় টিকে থাকে, কিন্তু ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এদের জীবনধারনের পক্ষে অনুকূল। সামান্য বৃষ্টিপাত ও নিয়মিত ভোরের শিশিরের সাহায্যে পাউডারি মাইল্ডিউ ছড়িয়ে যাওয়ার হার গতি পায় যা ডাউনি মাইল্ডিউ-এর আচরণের বিপরীত।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • প্রতিরোধী বা সহনশীল প্রজাতির চারাগাছ রোপন করুন।
  • বায়ু চলাচল যাতে ভালো হয় সেইজন্যে রোপণ করার সময়ে দুটি গাছের মধ্যে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার ব্যাপারে দৃষ্টি রাখুন।
  • রোগ বা কীটের আক্রমণের ব্যাপারে অবহিত থাকতে নিয়মিত জমি তদারকি করুন।
  • যখনই প্রথম লক্ষণ হিসাবে দাগ চিহ্নিত করা যাবে তখনই আক্রান্ত পাতা অপসারিত করুন।
  • রোগাক্রান্ত গাছ স্পর্শ করার পরে সুস্থ গাছ স্পর্শ করবেন না।
  • ঘন করে মালচের ব্যবহার মাটি থেকে পাতার উপরে বীজগুটি ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়।
  • কিছু ক্ষেত্রে, পরাশ্রয়দান করে না এমন শস্য আবর্তন কাজে দেয়।
  • সার দেওয়ার সময়ে গাছ যাতে সুষম পুষ্টির সরবরাহ পায় তা নিশ্চিত করুন।
  • তাপমাত্রার খুব বেশী হেরফের যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখুন।
  • ফসল সংগ্রহের পর উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ চাষ দিয়ে মাটির নিচে পাঠিয়ে দিন অথবা অপসারিত করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন